শরীরের কাঠামো ও গঠন এর উপর নির্ভর করে হাড়ের উপরে। ফলে হাড়ে যদি কোন সমস্যা দেখা যায়,তার প্রভাব পড়ে সামগ্রিকভাবে। তরুন বয়সে হাড় সবচেয়ে বেশি শক্ত ও সুস্থ্য থাকে। যদি আপনার সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা যায় ও যত্ন নেওয়া হয়। তবে বয়স যত যত বৃদ্ধি পেতে থাকে, হাড়ের শক্তি তত কমতে থাকে এবং হাড়ক্ষয় হতে থাকে। যারফলে ৪৫ বছর বয়সের পর হতে হাড়জনিত নানা সমস্যা দেখা দেওয়া শুরু হয়। আর এ কারণে হাড়ের প্রতি আলাদা যত্ন নিতে হয়। তা না হলে বয়স হয়ে গেলে বড় ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক হাড়ের যত্নে আপনাকে যেসব বিষয়ের প্রতি নজর দিতে হবে:
১। পারিবারিক ইতিহাস সর্ম্পকে জানা: শরীরের রোগের বিষয়ে পারিবারিক ইতিহাস অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। যার বাবা মা অথবা ভাই বোনের অস্টিওপরোসিসের সমস্যা রয়েছে, তারও এই ধরণের সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই পারিবারের মানুষের হাড়ের স্বাস্থ্য ও সমস্যা সর্ম্পকে জানতে হবে এবং সেভাবেই নিজের হাড়ের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
২। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ: হাড়েরর রোগের বিষয়ে প্রথমে যে বিষয়টি মাথায় আসে তা হলো ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ। প্রাকৃতিক এই মিনারেলটির সহায়তায় হাড় ও দাঁত গড়ে ওঠে ও দৃঢ়তা পায়। তবে ক্যালসিয়ামেই শেষ কথা নয়। শরীরকে প্রস্তুত করতে হবে ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য। নতুবা ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া হলেও তার পুষ্টি শরীরে সঠিকভাবে শোষিত হবে না এবং ক্যালসিয়ামের অভাববোধ হবে না। প্রধানত, হাড়ের যত্নে ক্যালসিয়াম তুলনাহীন।
৩। নিয়মিত ব্যায়াম:শুধু স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণেই যথেষ্ঠ নয়, শরীরচর্চার অভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে হাড়কে সুস্থ্য রাখতে চাইলে। শরীরচর্চার নানা কৌশল হাড়কে মজবুত করতে সহায়তা করে থাকে। যেমন: দৌড়ানো, হাঁটা, দঁড়ি লাফ সিঁড়িতে ওঠানামার মত হালকা শরীরচর্চার হাড়কে মজবুত করতে পারে ।
৪। ক্যাফেইন গ্রহণের মাত্রা কমিয়ে দেওয়া: ক্যাফেইনের বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকরিতা রয়েছে, তবে হাড়ের জন্য ক্যাফেইন ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে বাঁধা প্রদান করে। তাই রোত ২ কাপের বেশি কফি খাওয়া উচিৎ নয়। ৫। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ: ক্যালসিয়ামের সাথে সারসরিভাবে সংযুক্ত হলো ভিটামিন ডি। একই সাথে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি হাড়কে সুস্থ্য রাখতে সহায়তা করে। কমলা লেবু, চিংড়ি, ডিমের কুসুম, টুনা মাছ, সূর্যের আলো এগুলো হলো ভিটামিন ডি এর প্রাকৃতিক উৎস।