রোজ চুমু খেলেই সেরে যাবে অনেক জটিল রোগ – চুম্বন বা চুমু আমাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। তাই যত খুশি চুমু খান আর হৃদয়কে সুস্থ রাখুন। কথাগুলো আমাদের নয়। এসব কথা বলেছেন গবেষকরা।চুম্বন বা চুমু আমাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। তাই যত খুশি চুমু খান আর হৃদয়কে




সুস্থ রাখুন।বিজ্ঞানীদের দাবি, চুমু খেলে মস্তিষ্কে এন্ডরফিন নামের এক রকম হরমোনের ক্ষরণ হতে থাকে যা শরীরের ব্যথা-বেদনা কমাতে সাহায্য করে। চুমু খেলে মাইগ্রেনের মতো মারাত্মক যন্ত্রণাও কমে যেতে পারে।চুমু খাওয়ার সময় মস্তিষ্কে ডোপামিন আর সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ হতে থাকে যা




অবসাদ, দুশ্চিন্তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।বিশেষজ্ঞদের মতে, চুম্বনের সময় আইজিই অ্যান্টিবডি হ্রাস পায়। ফলে অ্যালার্জির প্রকপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই চুমু খান আর সুস্থ থাকুন। এক নজরে দেখে নিন চুমু খাওয়া উপকারিতা –




ওজন কমাতে চুমু খানঃ প্রিয়জনকে চুমু খাওয়ার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো এটি শরীরে ক্যালরির পরিমাণ কমায়। গবেষণায় দেখা যায়, চুমু খাওয়ার মাত্র ১ মিনিটের ছয় ক্যালরি করে ক্ষয় হয়। তাই সহজেই বোঝা যাচ্ছে, ওজন কমাতে শারীরিক কসরতের মতো কঠিন কাজগুলোর চেয়েও সহজ উপায় হচ্ছে চুমু খাওয়া। তো দেরি কীসের?
শরীরে আসে প্রশান্তির ছোঁয়া মানুষের শরীরের প্রশান্তি বাড়াতে অক্সিটোসিন ও এন্ডোরফিন নামক দুটি হরমোন নিঃসৃত হয়। চুমু খাওয়ার সময় এদের নিঃসরণের পরিমাণ এতোটাই বেড়ে যায় যে, পূর্বের সব ক্লান্তি ভুলে একজনকে প্রাণবন্ত করে তোলে। তাই বিষণ্ণ থাকলে মাত্র একটি চুমু বদলে দিতে পারে মন।




মজবুত করে মুখের পেশিঃ প্রিয়জনের চুমু খাওয়াতে শুধু মন ভালো হয়, তা কিন্তু নয়। ঠোঁটে চুমু দিলে, চোয়াল সুগঠিত থাকে। গবেষণায় দেখা যায়, চুমু খাওয়ার সময় একসঙ্গে ৩০টির মতো পেশী কাজ করে। এতে টান টান আকর্ষণীয় একটি চোয়াল পাওয়া সম্ভব। চুমুতে কমবে ব্যথাঃ ব্যস্ততা ও ক্লান্তিতে ভরা একটি দিনের পর শরীরের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।
এতে অনেকে শরীরেই ব্যথা অনুভব করেন। আর সে সময় অনেকেই নানা ওষুধ সেবন করে থাকেন। কিন্তু কী দরকার ওষুধের, চুমু আছে না? গবেষকরা বলছেন, অনেক সময় ওষুধের চেয়েও কার্যকরি ভূমিকা পালন করে প্রিয়জনের চুমু। ঠোঁটে চুমু খাওয়ার সময় বেশ কিছু রাসায়নিক নিঃসৃত হয়, যা শরীরের ব্যথা ও ক্লান্তি কমিয়ে দেয়।




বাড়ে হৃদয়ের ক্ষমতাঃ ভালোবাসা-বাসি এমনিতেই হৃদয়ের শক্তি বাড়িয়ে দেয়। আর যদি নিয়মিত প্রিয়জনকে চুমু খাওয়া যায়, তাহলে নাকি সেই শক্তি আরও বেড়ে যায়- এমনটাই বলছেন গবেষকরা। তারা জানিয়েছেন, চুমু খাওয়াতে শরীরে রক্তের সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে। যারা নিয়মিত চুমু খান তারা কমপক্ষে পাঁচ বছর বেশি বেঁচে থাকেন।
রোগের চেয়ে বেশি চুমুর শক্তিঃ একান্ত একটু চুমুর ক্ষমতা রোগের চেয়েও বেশি। হ্যাঁ, নিয়মিত চুমু খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত চুমু খাওয়াতে শরীরের মানসিক প্রক্রিয়া বেশ গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে। আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন এর মতে,
খাবারের পর দাঁত ব্রাশ করা চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ চুমু খাওয়া। কারণ চুমুর সময়, একে অন্যের লালা বিনিময়ে মুখের ব্যাকটেরিয়ার আদান-প্রদান হয়। এতে শরীরে অন্যের লালা প্রবেশকে কেন্দ্র করে এক ধরনের এন্টিবডি তৈরি করে, যা জীবাণু ধ্বংসে বেশ কার্যকারী থাকে।




চুমুতে ক্লান্তি দূরঃ একে-অপরকে কাছে পেলে যেন প্রেমিক-প্রেমিকার ক্লান্তি পালানোর পথ পায় না। সেক্ষেত্রে একটি জুটিকে আরও প্রাণবন্ত, প্রেমময় করতে চাই চুমু। চুমুর সময় রক্তনালীগুলো প্রসারিত হয়। এতে রক্তচাপ কমে যায়। তাই উচ্চরক্তচাপ রোগীদের নিয়মিত চুমু খেতে খুব গুরুত্বের সঙ্গেই বলে থাকেন চিকিৎসকরা।




এ ছাড়া চুমু খেলে শরীরের ক্লান্তি বেশ কমে যায় বলে আরও এক গবেষণায় জানা গেছে। এলার্জিমুক্ত শ্বসনতন্ত্রঃ জাপানের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঠোঁটে নিয়মিত চুমু খাওয়াতে শ্বসনতন্ত্র এলার্জিমুক্ত থাকে। শ্বাসনালীতে এলার্জির পরিমাণ বাড়াতে হিসটামিন নামে নাইট্রোজেন ঘটিত এক জৈব পদার্থ কাজ করে। ঠোঁটে চুমু খেলে এর পরিমাণ কমে যায়। ফলে এলার্জি আক্রান্ত পেশীগুলো জীবাণুমুক্ত থাকে।







