রাজ্যে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে বড় সিদ্ধান্তের কথাা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী – ক’রোনা ভাইরাসের প্র’কোপে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল পড়ুয়ারা। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল, কলেজ।




মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলেও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার তিনটি পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেছে করোনাভাইরাস এর জন্য। ছোট থেকে বড় কেউ স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পঠন-পাঠন।অনলাইনে শিক্ষক-শিক্ষিকারা শিক্ষা প্রদান করছেন ছাত্র-ছাত্রীদের।




কিন্তু যথাযথভাবে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করতে পারছিনা। সবক্ষেত্রেই সব ছাত্র-ছাত্রীদের ইন্টারনেট ব্যবস্থা সুবিধা নেই। ফলে অনলাইনে পড়াশোনার ভাগ নিতে পারছে না অনেক ছাত্র-ছাত্রী। কি সমস্যা হলেও তা সমাধান করতে পারছি না তারা। এমত অবস্থায় জুলাই মাসের শেষের থেকে স্কুল-কলেজ খুলে যাবে বলেই জানিয়েছেন প্রশাসন।




কিন্তু স্কুল-কলেজ খুললেই মানতে হবে কিছু সামাজিক নিয়ম। মাক্স নিয়ে আসা, স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখা করতে হবে বাধ্যতামূলক। একটি বেঞ্চে দুজনের থেকে বেশি বসা যাবে না। সর্বোচ্চ ৫০ জনের বেশি ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ক্লাস করা যাবে না।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,




স্কুল খুললে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দিতে হবে মাকস। সেই কারণেই আড়াই কোটি মাক্স বানানো হচ্ছে। সমস্ত সরকারি স্কুলে ভর্তির ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেয়া হবে মাক্স। একথা জানিয়েছেন বুধবার তিনি নবান্ন তে। এর সঙ্গে তিনি এ-ও জানিয়েছেন সরকারি তহবিলে দেড়শ কোটি টাকা জমা পড়েছে।তিনি বলেন যে প্রথমে আমরা




একটি ফান্ডে বানিয়েছিলাম ২০০ কোটি টাকা। চিঠি আস্তে আস্তে বেরিয়ে ৬০০থেকে ৭০০ কোটি টাকায় গিয়ে পৌঁছেছে। যদিও আমরা অনেকের থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি। অনেক বড় বড় মানুষেরা আমাদের সাহায্য করেছেন। এর ফলে দেড়শ কোটি টাকার একটি ফান্ড আমরা বানাতে পেরেছি।




সেখান থেকে ২৫ কোটি টাকার মাক্স কিনে বাচ্চাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। স্কুল খুললেই তাদের হাতে মাক্স তুলে দেওয়া হবে।শুধু সরকারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নয় অঙ্গনওয়াড়ি ছাত্র-ছাত্রীদের ও দেওয়া হবে এই মাক্স। এর সঙ্গে দমকলকর্মী আশা কর্মী এবং




পুলিশ এবং তারা ১০০ দিনের কাজ করেন প্রত্যেকটি দেওয়া হবে এই মাক্স।বিশ্ববাংলা তরফ থেকে এই কাজগুলি তে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ওপর নির্ভর করা হচ্ছে। কুড়ি জুন এরপর থেকেই স্কুলগুলিতে সেন্টারিং এর কাজ করা শুরু শুরু হবে। তারপর নিয়মমতো স্কুল খুললেই বাচ্চাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে মাক্স।




শিশুরা এই সমাজের ভবিষ্যৎ। তাই তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে সবার আগে। স্কুল-কলেজ খুললে ও করা নিয়ম মেনে শিক্ষা প্রদান করতে হবে বলে বলেছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।







