যেসব কারণে সুশান্ত-অঙ্কিতার ৬ বছরের – কি কারণে অঙ্কিতা-সুশান্তের ছয় বছরের সম্পর্কে ভাঙন ধরেছিলো! জেনে নিন তাদের সম্পর্কে কিছু কথা লিউডের এই গল্পটি বেশ পুরোনো, যেখানে এক সময় লোকেরা তাদের সঙ্গীদের




নির্দোষভাবে ভালোবাসতে দেখা যায়।তবে তাদের সম্পর্কটি এত সহজেই ভেঙে যায় যেন তাদের মধ্যে কখনও কিছুই ছিল না। অঙ্কিতা লোখণ্ডে এবং সুশান্ত সিং রাজপুতের মধ্যে একটি সম্পর্ক ছিল, আর এই 6 বছরের সম্পর্কটি এমনভাবে ভেঙে গেল যেন মনে হচ্ছিল তাদের মধ্যে কিছুই নেই। অঙ্কিতা-সুশান্তের 6 বছরের সম্পর্কের কারণেই এই




পরিণতিটি শেষ হয়ে গিয়েছিল, তবে আপনি যদি যা যা ঘটেছিল তার অনুরাগী হন তবে আপনার জানা উচিত এই কারণ কি। ক্রিকেটার ধনির জীবনী নিয়ে বানানো ছবি ‘এম.এস. ধনি: দি আনটোল্ড স্টোরি’ ছবিতে ধনির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। সুশান্তের শুরুটা হয়েছিল একতা কাপুরের ‘পবিত্র রিস্তা’ সিরিয়াল থেকে।




এখানে তিনি অঙ্কিতার সাথে কাজ করেন। সুশান্ত বড় পর্দায় পা দেয়ার পর তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘোটে। সুশান্ত এবং অঙ্কিতা দুই জনই তাদের এই সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে রাজি ছিলেন না। ইন্ডিয়া টুডেডকমের মতে, শেষপর্যন্ত সুশান্ত তার প্রাক্তন বান্ধবী অঙ্কিতার সাথে ব্রেক আপের কথা উল্লেখ করেন। বলিউড লাইফ ডটকমকে একটি সাক্ষাত্কারে




সুশান্ত বলেছিলেন, “এখানে শেখার কিছুই নেই। এখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, যদি কোন সম্পর্কে জড়াই তাহলে এটা নিয়ে কারো সাথে কথা বলব না। ফলে যখন ব্রেক আপ হবে তখন আর কেও জানবে না। এটা ব্যক্তিগত ব্রেক আপ হিসেবে থেকে যাবে”। তিনি আরও বলেন, “এটা নিশ্চিত যে, আমি এখন যা কিছু করছি তা সত্যিই আমি করতে পছন্দ




করি (চলচ্চিত্রে কাজ করা)। মানুষ আমার সম্পর্কে কি ভাবছে তা চিন্তা করার সময় আমার নেই। এবং ভবিষ্যতে আমার কোন অবকাশও নেই। তাই আমাকে কোন নির্দিষ্ট খ্যাতি রক্ষা বা অর্জন করতে হবে না। যদি আমাকে সুন্দর ভাবে প্রশ্ন করেন তাহলে আমি ভালোভাবে উত্তর দিব”। ভারতিয় টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা জুটি ছিলেন তারা। ‘পবিত্র রিস্তা’-র সময় থেকেই তাদের সম্পর্ক নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়। কিন্তু, ২০১৬ সালে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। সুশান্ত




সিং রাজপুত এবং তার প্রাক্তন অঙ্কিতা লোখান্ডের কথা বলা হচ্ছে। সুশান্তের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এবার বিকি জৈন নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন অঙ্কিতা। সম্প্রতি তার এবং বিকির সম্পর্কের কথা অভিনেত্রী স্বীকার করে নিয়েছেন। অঙ্কিতা তার অভিনয়ের পাশাপাশি তার সম্পর্ক নিয়েও আলোচনায় ছিলেন। টিভি শো শেষ হয়ে গেল এবং দুজনেই ঘরে ঘরে মানব-অর্চনা নামে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল, এরই মধ্যে দুজনেই লিভ ইন রিলেশনশিপেও ছিল।




এমন একটি সময় ছিল যখন দুজনের প্রেমের সূত্রপাত শুরু হয়েছিল এবং এক সময়ের পরে দুজনেই সম্পর্কের মধ্যে এসেছিল, তারা সংবাদমাধ্যমকে এই কথা জানিয়েছিল এবং আরও বলেছিল যে সঠিক সময় এলে তারা বিয়ে করবে। এদিকে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছিল লকডাউন। দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই করো’নাভাইরাসের সংক্রমণ বেশি। তার মধ্যেও আবার মুম্বইয়েই সবচেয়ে বেশি আ’ক্রান্ত। শুধু মুম্বই এবং শহরতলিতেই




আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। ফলে পুরো বলিউড কার্যত ঘরবন্দি। তার মধ্য়ে আবার এই পুরো লকডাউন পর্বে একাই দিন কাটিয়েছেন সুশান্ত। শু’টিং বন্ধ। এখনও চালু হয়নি। আবার লকডাউনের জেরে মুক্তি আটকে গিয়েছিল সুশান্তের অভিনীত ‘দিল বেচারা’র মুক্তি আটকে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে লকডাউন পর্বেও কি হ’তাশা বাড়ছিল সুশান্তের?




উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়, তবে ত’দন্ত সাপেক্ষ, বলছেন মুম্বই পুলিশের তদন্তকারীরা। মনস্তাত্ত্বিকদের মতে, অবসাদের এক ও একমাত্র কারণ থাকতে রারে। আবার একাধিক হতাশার যোগফলও বড় হতাশা এবং সেখান থেকে আ’ত্মহ’ত্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে কাউকে। যদি আ’ত্মহ’ত্যাই করে থাকেন সুশান্ত এবং সেটা যদি হতাশা থেকে হয়, তা হলে কি সবগুলিই ছিল তার নেপথ্যে। কেরিয়ারের নিম্নমুখী গ্রাফ, একাধিক সম্পর্কের টানাপড়েন, লকডাউনের একাকিত্ব—সব




মিলিয়েই কি অবসাদ জাঁকিয়ে বসেছিল সুশান্তের মধ্যে? আপাতত উত্তর নেই। তদন্তকারীরা হয়তো পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে একটা উপসংহারে আসতে পারেন, কিন্তু সুশান্তের মধ্যে যে ঠিক কী চলছিল, সেটা হয়তো আর কোনও দিনই জানা যাবে না।







