মুখের ছবি দিয়েই তৈরি হচ্ছে মাস্ক; আর চিনতে অসুবিধা হবে না – করোনা পরিস্থতিতে বর্তমানে সবার মুখেই উঠে এসেছে মাস্ক। সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামীতেও সম্ভবত এই মাস্ক নিত্যসঙ্গী হতে চলেছে মানুষের।




ফলে মাস্ক নিয়ে ব্যবসার সম্ভাবনাও বাড়ছে। তাই মাস্ক আরও আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নিয়েছেন অনেকেই। এন ৯৫ ও সার্জিকাল মাস্ক তো আছেই, এখন বাজারে মিলছে নানা ধরনের ছাপা ও নকশাদার মাস্ক। কিন্তু মাস্ক পরলে পরিচিতজনরা আপনাকে চিনতে সমস্যায় পরে যায়।




তবে এ সমস্যার সমাধান এনেছে ভারতের এক ফটোগ্রাফার। কিছুদিন আগেই দেশটিতে বিয়ের গয়না হিসাবে খবরের শিরোনামে উঠে আসে রুপার তৈরি মাস্কের কথা। এ বার ক্রেতার মুখের ছবি দিয়েই তৈরি হচ্ছে মাস্ক। কেরালার এক ফোটোগ্রাফার তৈরি করেছেন এমন অদ্ভুত মাস্ক।




মাস্ক পরা থাকলেও অনায়াসেই চেনা যাবে আপনাকে! তাই অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই প্রিন্টেড মাস্ক। কেরালার কোট্টায়াম শহরের ফোটোগ্রাফার বিনেশ পাল প্রায় ৫৫ বছরের পারিবারিক ব্যবসা সামলাচ্ছেন।




মূলত বিয়ের ছবি তোলার অর্ডার থেকেই আয় হত। বিনেশ নিজের স্টুডিওতেই ক্রেতার অর্ডার অনুযায়ী তৈরি করে দিচ্ছেন এই মাস্ক। বিনেশ জানিয়েছেন, এক একটি মাস্ক প্রিন্ট করতে সময় লাগছে মাত্র ১৫ মিনিট। দামও মাত্র ৬০ টাকা।




তাই সব বয়সের ক্রেতার বিপুল অর্ডারের চাপ হাসি মুখেই সামলাচ্ছেন তিনি। আবার মাস্কে ছাপিয়ে নিতে পারেন নিজের ছবি। দাঁইহাটের এক তরুণ ব্যবসায়ী বিক্রি করছেন ‘কাস্টমাইজ মাস্ক’। ক্রেতাদের সাড়াও মিলছে বেশ। পছন্দের রাজনৈতিক দলের প্রতীক ছাপিয়েও পরতে পারেন মাস্ক। দামও একদম নাগালে।




এর মধ্যে নবতম সংযোজন ‘কাস্টমাইজ মাস্ক’, অর্থাৎ নিজের ইচ্ছে মতো মাস্কের ডিজাইন করে নেওয়া যাচ্ছে। নিজের ছবি হোক বা প্রিয়জনের, কিছু টাকা খরচ করলেই ফুটে উঠবে মাস্কের উপর। দাঁইহাট শহরের এক যুবক তৈরি করছেন এই ধরনের মাস্ক।




পারিশ্রমিক নিয়ে ছবি দিয়ে তিনি মাস্ক তৈরি করে দিচ্ছেন ক্রেতাদের। যে ধরনের ছবিই প্রিন্ট করা হোক, মাস্কের দাম পড়ছে ১০০ টাকা। কাচলেও সহজে ওই প্রিন্ট উঠবে না বলেই জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা।







