ভারতবর্ষকে শেষ করে দিল – সামনেই বিধানসভা নির্বাচন, তবে তা অনেকটাই দেরি। কিন্তু দেরি থাকলেও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে নারাজ রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিকে। যে
কারণে করোনা আবহেই প্রচারে নেমে পড়লেন তিনি।




রবিবার বীরভূমের সিউড়ির ২ নম্বর ব্লকের পুরন্দরপুর এলাকায় একটি পরিত্যক্ত রাইস মিলের মাঠে সামাজিক দূরত্ব মেনে সভা করলেন। আর এই সভা থেকেই কেন্দ্র সরকার ও বিজেপিকে একের পর এক কটাক্ষ করতে দেখা গেল তাকে। করোনা আবহে দেশের কোটি কোটি মানুষ আশঙ্কার সঙ্গে জীবনযাপন করছেন। আর এই করোনা ভারতবর্ষে




ছড়িয়ে পরার জন্য তিনি এক প্রকার প্রধানমন্ত্রীকেই দায়ী করলেন। সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন বিদেশের বিমান বাতিল করতে। তিনি বলেছিলেন পাঁচ দিন সবরকম ট্রেন চালিয়ে লকডাউন করতে। যাতে করে অন্য রাজ্যে আটকে থাকারা বাড়ি ফিরতে পারেন। তাতে করোনা বাড়বে না। কিন্তু মাথামোটা প্রধানমন্ত্রী কথাটা




শুনলেন না। আজ ভারতবর্ষকে শেষ করে দিলো।” দেশে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। আর এর জন্যও তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে বলেন, “আজ করোনা কত জানেন? ৩ লক্ষ। হবে কত? ৫০ লক্ষ করোনা হবে ভারতবর্ষে। এক ভয়ঙ্কর জায়গায় চলে যাবে ভারতবর্ষ। এর দায়ী কে বলুন তো? একমাত্র নরেন্দ্র মোদি। কোন নীতি




নাই, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিথ্যা কথা বলে। একটাও সত্যি কথা বলে না। মানুষের কোন উপকার করে নাই। প্রথম দিন থেকে বলে দিলো আমরা এক কেজি করে ডাল দেব, এখনো দিতে পারে নাই। এখনো দিতে পারে নাই। একটা মিথ্যাবাদী সরকার।” এরপরেই তিনি দিন কয়েক আগের অমিত শাহের ঘোষণা নিয়ে বলেন, “কদিন আগে অমিত শাহ




ঘোষণা করে বললো আমরা পশ্চিমবাংলাকে ১১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। কাদের দেওয়ার জন্য বললো? সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ সবার জন্য। আচ্ছা একটা কথা আপনারা বলুন তো, ১১ হাজার কোটি টাকা যদি ৯ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের অ্যাকাউন্টে দিয়ে থাকে তাহলে এক একটা লোক ১২০০ টাকা করে পেয়েছেন। কারোর অ্যাকাউন্টে ১২০০ টাকা করে




ঢুকেছে? একজন দাঁড়িয়ে বলুন যে ১২০০ টাকা ঢুকেছে। একটা মিথ্যাবাদী কথা বলে দিলেন।” যদিও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের এই সকল দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল আগেই জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন ঠিকঠাক মানা হয়নি। যে কারণে পশ্চিমবঙ্গে দিন দিন বাড়ছে




করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর রেশন ব্যবস্থা নিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের পাঠানো চাল গুণগতভাবে উৎকৃষ্ট মানের, এই চাল পাল্টে নিচ্ছে তৃণমূল নেতারা।শুধু পাল্টে নেওয়াই নয় কেন্দ্রের পাঠানো চালকে তারা নিজেদের ঘরে তুলছে। তারপর সেগুলিকে দান করার নামে নাম কমানোর চেষ্টা করছে।







