বিয়ের ৯ বছর পর মহিলা জানতে পারলেন তিনি পুরুষ! – ক্যান্সার এমন একটি মারণ অসুখ যা এক লহমায় বদলে দেয় সমস্ত হিসেব নিকেষ। অস্বাভাবিক মনের জোর থাকলে তবেই ল’ড়াই করা যায় ক্যান্সারের সাথে। বলা হয়, ক্যান্সার হলো”




রাজার অসুখ”।কিন্তু যদি ক্যান্সার ধরা পড়ার পর আপনার অস্তিত্বই বিপাকে পড়ে? এমনই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের বুকে। ৩০ টি বছর নিজের ছন্দে কাটছিল জীবন। কখনো বড়সড় কোন অসুখ হয়নি তার। বীরভূমের বাসিন্দার কোনদিন সেভাবে ডাক্তারের কাছে যাবার প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু কয়েকদিন ধরে চলা পে’টের য’ন্ত্রণা তার জীবন সম্পূর্ণ পাল্টে




দিল। পেটের য’ন্ত্রণা চিকিৎসা করতে গিয়ে মহিলার সামনে উঠে এলো এক ভ’য়’ঙ্কর সত্য। মহিলা জানতে পারেন তিনি আদতে একজন পুরুষ। ৩০ বছর বয়সী মহিলার বিবাহিত জীবন প্রায় ৯ বছরের। তলপেটে ব্যথার জন্য বেশ কয়েক মাস ধরেই তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস ক্যান্সার হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।অনকোলজিস্ট অনুপম দত্ত এবং সার্জিকাল




টিউমার বিশেষজ্ঞ সৌমেন দাস একাধিবার পরীক্ষা করান। সেই সময়ে প্রকাশ্যে আসে আসল ঘটনা। তারা জানতে পারেন এই মহিলা আসলে একজন পুরুষ। কিন্তু বাহ্যিক গঠন অনুযায়ী তার শরীরে মহিলার সমস্ত বৈশিষ্ট্য বর্তমান রয়েছে। তার গলার স্বর স্ত’নের গঠন থেকে শুরু করে যৌ’না’ঙ্গের গঠন সবকিছুই অন্য মহিলাদের মতই স্বাভাবিক। তবে তার জরায়ু




এবং ডি’ম্বাশয় জন্ম থেকেই ছিল অনুপস্থিত। মহিলা নাকি কোনদিনও ঋ’তুস্রা’বের অভিজ্ঞতা অর্জন করেনি। চিকিৎসকদের কথায় এমন ঘটনা খুবই বি’রল। ২২ হাজার জনের মধ্যে একজনের শরীরে এমন বি’রল লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। এই রোগটিকে এ’ন্ড্রো’জেন ইন’সেন’সেটিভিটি সি’ন্ড্রোম বলে। পরীক্ষার রিপোর্টে অন্ধ যো’নি থাকার কথা




উল্লেখ করা হয়েছে। তার শরীরে অ’ন্ডকো’ষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা হয়েছে। তলপেটে ব্যথার জন্য বায়োপসি করা হয়েছিল।সেই রিপোর্টে তার টেস্টিকুলার ক্যান্সার ধরা পড়েছে বলে বর্তমানে কেমোথেরাপি চলছে তার।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, অ’ন্ডকো’ষ দেহের অভ্যন্তরে হওয়ায় উন্নত অবস্থায় ছিল। অন্যদিকে মহিলা হরমোন গু’লির উপস্থিতি




থাকে মহিলা করে রেখেছিল। জানা গেছে দম্পতি বেশ কয়েকবার সন্তান নেবার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টা তাদের বিফল হয়। চিকিৎসকরা বলেছেন, রোগীর 28 বছরের ছোট বোনের এই পরীক্ষা হয়েছে। তারও এন্ড্রোজেন ইন’সেনসে’টিভিটি সি’ন্ড্রোম ধরা পড়েছে। রোগীর দুই মামার নাকি একই রোগ ছিল বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।




প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা মনে করছেন, এটি জিনগত রোগ।সেই কারণেই রোগীর পরিবারের কারোর না কারোর এই রোগ বর্তমান। চিকিৎসকরা আরো বলছেন, প্রত্যেক নারীর একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে ঋ’তুস্রা’ব শুরু হবার। যখন এই মহিলার




ঋ’তুস্রা’ব শুরু হয়নি, তখনই কোনো চিকিৎসক কে কথাটা জানানো উচিত ছিল। সমাজে এইরকম নারীদের বৃহন্নলা আখ্যা দেওয়া হয়। হয়তো সেই ভয়ে এই মহিলা বা তার পরিবার কোনদিন কাউকে কিছু জানায়নি।







