পল টারকোট নামক মেয়ের বাবা খুব বেশিদিন চিনতেন না মেয়ের প্রেমিককে। তাকে কী আসে যায়। কিন্তু সেই যুবকের কারণেই মৃত্যুর দরজা হতে ফিরে এসেছেন তিনি। পল টারকোট অনেক দিন হতে কিডনির সমস্যাতে ভুগতেন। সে খবর জানতে পেরে প্রেমিকার বাবাকে কিডনি দান করা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন তিনি। আর সেই যুবকের নাম অ্যান্ডু মেজাক, যার বয়স (২৩) বছর।
আমেরিকার নিউ ইর্য়কের রোচেস্টারের অধিবাসী অ্যান্ডু মেজাক। একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে তাদের কয়েক বছর আগে পরিচয় হয় পল টারকোটের মেয়ে অ্যাশলে টারকোট এর সাথে। একে অপরকে পছন্দ করেন এবঙ সেই হতে তাদের ভালোবাসার যাত্রা শুরু হয়। তবে অনেক দিন ধরে অ্যাশেল তার পারিবারের একটি তথ্য তার প্রোমিক অ্যান্ডু মেজাকের কাছে গোপন রেখেছেন।
অ্যাশেলের বাবা কিডনি রোগে ভুগছেন; কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া তাঁরা বাঁচার কোন পথ নেই, বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই বিষয়টি অ্যান্ডু মেজাক জানার পর তিনি নিজেই তার কিডনি দান করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। অ্যান্ডু বলেন, অ্যাশেলের বাবার খবর শুনে আমি চিন্তিত হয়ে পড়ি। এরপর কিডনি দানের বিষয়টি নিয়ে পড়াশুনা করেন তিনি। তারপর জানতে পারেন তার কিডনি ম্যাস করে অ্যাশেলের বাবার সাথে।
যেমন ভাবনা ঠিক তেমনি কজ শুরু করে দেন অ্যান্ডু। এরপর অ্যান্ডু মেজাক তার পরিবার ও ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে করলে সব দিক হতে তিনি সবুজ সংকেত পেয়ে যান। চিকিৎসকরা জানান, অ্যান্ডু মেজাক কিডনি পলের শরীরের প্রতিস্থাপন করলে কোন সমস্যা হবে না। এরপর চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১ অক্টোবর তাদের অস্ত্র পাচার হয়। আমেরিকার একটি প্রাইভেট হাসপাতাল। অস্ত্রপাচারের পর পল ও অ্যা্নডু দু জনে সুস্থ্য রয়েছেন।
পল টারকোটের পরিবার অ্যান্ডু মেজাক ও তার পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন। পল টারকোট জানান, এভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে ও তার জীবন বাঁচানোর জন্য তিনি তার মেয়ের প্রেমিকের কাছে চির কৃতজ্ঞ।