নিজের যে ৩টি ভুলে আপনার কিডনী নষ্ট হয়ে যেতে পারে – আমাদের দেহের বিপাকক্রিয়ায় তৈরি সব বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে কিডনির মাধ্যমেই বের হয়ে যায়। কিডনি অকার্যকর হয়ে গেলে শরীরের ক্ষতিকর বর্জ্য র’ক্তে জমা হয়।





তখন বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে কিডনি অকার্যকারিতার হার ক্রমাগত বাড়ছে। আর কিডনি রোগ চিকিৎসার জনবল ও অবকাঠামো প্রয়োজনের তুলনায় খুবই দুর্বল। তাই কিডনি সুস্থ রাখার দিকে নজর দিতে হবে এখনই। আর করো’না ভাই’রাসের কারণে এখন সময়টা ভালো যাচ্ছে না। সামান্য একটু অনিয়মে বড় দুর্ঘ’টনা ঘটতে





পারে। সুস্থ থাকতে হলে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা খুবই জরুরি। সঠিক খাওয়া-দাওয়া, শৃঙ্খল জীবন যাপন না হলেই একের পর এক অ’সুস্থতা ধ’রা পড়ে শরীরে। তবে অনেক সময় আম’রা এমন কিছু ভুল করি, যা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়।





আমাদের ছোট ছোট কিছু অনিয়মের জন্য যেমন কিডনির সমস্যা দেখা যায়। যা আমৃ’ত্যু বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়। চলুন জেনে নিই এমন তিনটি ভুল, যা থেকে হতে পারে কিডনির রোগ।





১। অ’তিরিক্ত লবণ খাওয়া অনেকের বাড়তি লবণ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। খেতে বসে প্লেটে আলাদা করে লবণ নিয়ে খান। এই অনিয়মটির কারণে কিডনির অনেক বেশি ক্ষতি হয়। কারণ কিডনি অ’তিরিক্ত সোডিয়াম আমাদের দেহ থেকে নিষ্কাশন করতে পারে না। ফলে বাড়তি লবণের সোডিয়ামটুকু কিডনিতে থেকে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, নষ্ট হবার সম্ভাবনাও থাকে।





২। ম’দ পান
ম’দপান কিডনির জন্য সব চাইতে বেশি ক্ষতিকর। অ্যালকোহল কিডনি আমাদের দেহ থেকে সঠিক নিয়মে নিষ্কাশন করতে পারে না। ফলে এটি কিডনির মধ্যে থেকেই কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এমনকি কিডনি নষ্ট করে দেয়। অ’তিরিক্ত ম’দপানের কারণে লিভা’র সিরোসিসের মতো মা’রাত্মক রোগে আ’ক্রান্ত হন অনেকে। এই রোগে মৃ’ত্যুর হার অনেক বেশি।





৩। ঠিকমতো পানি না খাওয়া
কিডনির সুরক্ষার জন্য সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিয়ম করে পানি খাওয়া। আম’রা অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করি না। বাড়ি থেকে বাইরে বের হলে অনেকের পানি পানের কথা মনে থাকে না। কিন্তু এতে কিডনির ওপর অনেক বেশি পরিমাণে চাপ পড়ে এবং কিডনি তার সাধারণ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে ৬-৮ গ্লাস জল পান করা অ’ত্যন্ত জরুরী।









