জীবন বাজি রেখে চলন্ত ট্রেনে ছুটে গিয়ে শিশুকে দুধের প্যাকেট দিলেন পুলিশ – চলন্ত ট্রেনের পেছনে বন্ধুক নিয়ে ছুটতে পুলিশকে আমরা অনেকবার দেখেছি,কখনো বাস্তবে কখনো রঙিন পর্দায়। দৌড়ের উদ্দেশ্যটি সবসময় থাকে কোন দুষ্কৃতীকে ধরার।




পুলিশ চোরকে ধরবে এ আর নতুন কথা কি। কিন্তু দুধ নিয়ে ট্রেনের পেছনে ছুটতে কখনো কোন পুলিশকে দেখেছেন কি? হ্যা,অবাক হলেও সত্যি।ঠিক এমনটাই ঘটলো ভোপালের স্টেশনে। একটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ৪ বছরের শিশুকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে ফিরছিলেন সাফিয়া হাশমি।




দীর্ঘক্ষন ট্রেনে থাকার দরুন তার শিশুটির খিদে পেয়ে গেছিল। কিন্তু সঙ্গে করে আনা সব খাবারই প্রায় শেষের দিকে। তখন আর কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই বিস্কুট জলে ভিজিয়ে খাওয়াতে হচ্ছিল সন্তানকে। ঠিক তারপরে ট্রেনটি ভোপালের স্টেশনে এসে পৌঁছায়। কিন্তু ট্রেন থেকে নামার ঝুঁকি নিতে পাচ্ছিল না সাফিয়া।




ট্রেন ছেড়ে দিলে তার বাড়ি ফেরা হবেনা। ঠিক এই সময় তিনি স্টেশনের দিকে তাকিয়ে দেখতে পান এক আরপিএফ জাওয়ান ইন্দ্র যাদব কে। তিনি তাকে তার সমস্যার কথা জানিয়ে দুধের একটা প্যাকেট কিনে দেওয়ার জন্য আর্জি জানান।




এক মুহূর্ত না ভেবে ইন্দ্র দুধ কিনতে চলে যান। কিন্তু দুধ কিনে আসার সময় ট্রেন প্লাটফর্ম ছাড়তে শুরু করে দিয়েছিল।নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই একহাতে সার্ভিস বন্দুকটা ধরে এবং অন্য হাতে দুধ এর প্যাকেট ধরে প্লাটফর্মের উপর দিয়ে ট্রেনের সঙ্গে ছুটতে শুরু করেন ইন্দ্র।




শেষমেষ সফল হন তিনি। সাফিয়ার হাতে পৌঁছে দেন দুধের প্যাকেট। তার সহযোগিতায় দুধ খেতে তাই ছোট চার বছরের শিশুটি। দেশের এই পরিস্থিতিতে পুলিশের অবদান আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত।দিনের পর দিন রাতের পর রাত জেগে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তারা জনসাধারণের জন্য সেবা করে যাচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।




মুষ্টিমেয় কিছু পুলিশ কর্মীর জন্য সকল পুলিশ কর্মীদের দায়ী করা বোধ হয় সত্যিই উচিত নয়। এই ঘটনাই তার প্রমাণ। ইন্দ্র যাদবের এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। তার কীর্তিকলাপের




জন্য প্রশংসার বন্যা বয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাফিয়া নিজে সেই ভিডিও পোস্ট করে ইন্দ্রকে রিয়েল হিরো বলে বর্ণনা করেছেন। রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ইন্দ্রর এই ভূমিকায় আপ্লুত হয়েছেন। তিনি টুইট করে জানান, ” চার বছরের একটি শিশুর জন্য ইন্দ্র যা করলেন তা সত্যিই একটি দৃষ্টান্ত হয়ে রইল “।







