মেদহীন ও সুঠাম শরীর কে না পেতে চায়? বিশেষ করে মেদবহুল পেট কারোই পছন্দ নয়। খাওয়া দাওয়ার অনিয়ম, ভুল খাবারে পেট ভরানো, শারীরিক পরিশ্রম না করা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হওয়ার কারণে পেটের মেদ বাড়তে থাকে হু হু করে। যথা সময়ে ব্যবস্থ্যা না নিলে ভুঁড়ি কিংবা ওজন বৃদ্ধির মত সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হতে সময় লাগে না। আর সেই সাথে ডেকে নিয়ে আসে নানা রোগ ব্যধি।
মেদ সাধারণত দুই রকমের হয়ে থাকে। তলপেটের অংশে মেদ জমে শক্ত হয়ে যায়। একে বলা হয় বালজিং। অরেক ধরনের হলো পুরো পেটেই মেদ জমে ভূঁড়ির আকার ধারণ করে। একে ব্লোটেড বেলি বলা হয়। প্রথমটির তুলনা ২য় টি কমানো বেশ সহজ। তবে কথায় আছে না ইচ্চে থাকলে উপায় হয়। সেজন্য জিমে যেতে হবে না আপনাকে। কিছু ঘরোয়া উপায়ে এ ধরণের মেদ সহজে কমিয়ে ফেলতে পারেন।
তবে চলুন দেকে নেওয়া যাক সেই ঘরোয়া উপায় সমূহ: আপনার পেট যত বেশি ভারি হতে থাকবে তত বেশি পরিমাণে পানি পান করুন। অতিরিক্ত পানি পানের ফলে পাচনতন্ত্রে আগে হতে জমে থাকা পানি অপসারণের কাজ শুরু হয় এবং হজম তাড়াতাড়ি হয়ে থাকে। শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয় না বলে শরীরে পানি অকারণে জমিয়েও রাখে না।
মানব শরীরকে ডিটক্সিফাই করার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। আদা ভেজানো পানির সাথে মধু মিশিয়ে ও পাতিলেবু মিশিয়ে খেয়ে নিন। এতে শররি খুব সহজেই ডিটক্সিফাই হয়ে যাবে। স্ফীত পেটের সমস্যা হতে মুক্তি পেতে চাইলে চ কফি বর্জন করার উচিৎ। কফিতে থাকা ক্যাফেইন আপনার শরীরে ডিহাইড্রেশনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই সাথে শরীরে শর্করা ও ক্যালসিয়ামের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়।
স্ফীত পেটের সমস্যা হতে মুক্তি পাওয়ার আরেকটি উপায় হলো কলা খাওয়া। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। যা শরীরের পানি ধারণ ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে, পাচনতন্ত্রে থাকা সোডিয়ামের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। লবন পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম। যা শরীরে হতে অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে সহায়তা করে। শরীরের যে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখার প্রবণতা থাকে, তাও দূর হয়ে যায় এই লবণ গোসলের ফলে। নিয়মিত লবন পানিতে গোসল করলে স্ফীত পেটের সমস্যা কমে যায়।
যাদের ভূঁড়ির সমস্যা রয়েছে তার সকালের নাস্তায় অবশ্যই প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাবেন। যাতে পাচনক্রিয়া ভালো হয়। এছাড়া রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়ার অভ্যাস করুন। তবে রাতে খাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা পর ঘুমাতে যাবেন।