রোজাকার বাজে খাদ্যাভাস ও বাজে জীবনযাপন অভ্যাসের কারণে আমাদের শরীরে ওজন, মেদ, চর্বি বেড়ে যায়। আর ওজন কমাতে অনেক কিছুই করে থাকি আমরা। তবে সব চেষ্টার পর আপনি ঘি খেয়ে দেখতে পারেন।
গবেষণা বলছে, অনেকেই ধারণা করে থাকেন যে, ঘি খেলে ওজন বাড়ে কিন্তু আসলে তা সত্যি নয়। এটি ভুল ধারণা। একাধিক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে, নিদৃষ্ট পরিমাণে ঘি যদি আপানি সঠিক পরিমাণে খান তবে আপনার ওজন কমতে বাধ্য। কেননা ঘিতে থাকা মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে জমে থাকা ফ্যাট সেল গলিয়ে ফেলতে সহায়তা করে।
এছাড়াও ঘি যেসব শারীরিক উপকার করে থাকে:
১। মস্তিস্কের কর্মক্ষমমতা বাড়াতে ঘি খুব ভালো কাজ করে থাকে। ঘিতে থাকা অ্যাসেনশিয়াল ফ্যাট মস্তিস্কের কোষের কর্মক্ষমতা অনেকগুণ বৃদ্ধি করে থাকে। এছাড়াও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ঘি অত্যান্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। ২। যদি সকালে খালি পেটে ঘি খান তবে শরীরের ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে থাকে। এই ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হাটের সমস্যায় হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
৩। ঘি তে রয়েছে ভিটামিন কে2, সিএল নামক দুটি শক্তিশালি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। ৪। ঘিয়ে বিদ্যামান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ শরীর হতে বের করে দিয়ে ক্যান্সারের আশঙ্কাও কমিয়ে দেয়। ৫। সাকালে খালিপেটে নিয়মিত ঘি খেলে অস্থি সন্ধির সচলতা বাড়িয়ে তোলে সেই সাথে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতেও সহয়তা করে থাকে। ফলে হাড়ের যে কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
৬। রোজ খালি পেটে ঘি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে সুন্দর ও সতেজ।৭। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, প্রতিদিন দু চামচ ঘি খালিপেটে খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন অনেকগুণ বৃদ্ধি করে থাকে। এছাড়াও রোজ ভাতের সাথে বা রুটির সাথে ঘি খেতে পারেন ।