করোন প্রতিরোধে বিশ্বকে পথ দেখাবে ভারত! ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল – লখনউয়ের সেন্ট্রাল ড্রাগ রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবার করোনা প্রতিরোধে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ উমিফেনোভিরের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর অনুমোদন পেল। লখনউয়ের কিং




জর্জস মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাম মনোহর লোহিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স ও লখনউ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। গবেষণায় উঠে এসেছে, মানব দেহে ভাইরাস প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে এই ওষুধ। তার সঙ্গে অনাক্রম্যতা ক্ষমতাকেও চাঙ্গা করতে পারে এই ওষুধ। মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এটি। চিন ও




রাশিয়ায় মেলে উমিফেনোভির। অতি কম সময়ের মধ্যেই গোয়ার একটি সংস্থা এই ওষুধ উৎপাদনের প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটিয়েছে এবং পরীক্ষামূলক ব্যবহারের লাইসেন্সও পেয়ে গিয়েছে। কোন ক্ষেত্রে কার্যকরী? জেনে নিন সিএসআইআর ও সিডিআইআরের ডিরেক্টর প্রফেসর তাপস কুন্ডু জানিয়েছেন, ওষুধটির কাঁচামাল সব উপলব্ধ রয়েছে। যদি ক্লিনিক্যাল




ট্রায়াল সফল হয় তাহলে এটি সবচেয়ে সহজলভ্য কার্যকরী ওষুধ হবে। বিগত তিন মাস ধরেই করোনার ওষুধ নির্ণয় করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে সিএসআইআর। এর আগেও দেশে তৈরি ফ্যাভিপিরাভিরের ট্রায়ালে সিএসআইআরকে




অনুমোদন দিয়েছিল ড্রাগ কন্ট্রোলার অব ইন্ডিয়া। অন্যদিকে ক্যান্ডিলা ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাইকোব্যাকটিরিয়াম ডব্লিউর মূল্যায়ন চালিয়ে যাচ্ছে এই সংস্থা।




এই বিশেষ ওষুধে পাঁচ দিনেই নির্মূল হচ্ছে করোনা! দাবি চিনা গবেষকদের
করোনা আক্রান্তের শরীরে সংক্রমণ কমাতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো ওষুধের প্রয়োগ করা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে অনেকটাই সহায়ক হচ্ছে এই ওষুধগুলি। সম্প্রতি পরীক্ষা




মূলক প্রয়োগের জন্য অক্সফোর্ডে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন আর অ্যাজিথ্রোমাইসিন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে।করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় এই দুই ওষুধ কতটা কার্যকরী হতে পারে, সেটা জানতেই এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় মার্কিন ওষুধ রেমডেসিভিরের প্রয়োগে আশানুরূপ ফল পেয়েছেন মার্কিন




চিকিৎসকরা। করোনার টিকা তৈরির পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য ওষুধ তৈরির বিষয়টিও বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকরা। এর মধ্যেই নতুন করে আশার কথা শোনা গেল চিনা গবেষকদের কাছ থেকে। চিনের পেকিং ইউনিউভার্সিটির একদল গবেষক দাবি করেছেন, এক বিশেষ ওষুধেই নিয়ন্ত্রণে আসবে করোনাভাইরাসের ব্যাপক




সংক্রমণ। চিনা গবেষকদের দাবি, তাঁদের তৈরি এই ওষুধ আক্রান্তের শরীরে ভাইরাল লোড দ্রুত কমানোর পাশাপাশি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাও সাময়িক ভাবে বাড়াতে সাহায্য করবে। Covid-19 বেইজিং অ্যাডভান্সড ইনোভেশন সেন্টার ফর জিনোমিক্স-এর (Beijing Advanced Innovation Center for Genomics) ডিরেক্টর সানি জি সংবাদ সংস্থা




এএফপি-কে জানান, করোনা সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ৬০ জনের শরীর থেকে অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করে এই বিশেষ ওষুধ তৈরি করা হয়েছে। ‘সেল’ নামের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন দাবি করা হয়েছে, ইঁদুর-সহ একাধিক প্রাণীর উপর পরীক্ষাগারে এই ওষুধ প্রয়োগ করে দেখেছেন বেইজিং অ্যাডভান্সড ইনোভেশন সেন্টার ফর জিনোমিক্স-এর বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে ওই প্রাণীদের শরীর থেকে করোনাভাইরাস নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে এই ওষুধ।







