এ সময়ে বাড়িতে কারও সর্দি-জ্বর-গলাব্যথা হলে যা করণীয় -দেশে দিনে দিনে করো’না ভা’ইরাসের সংক্র’মিত রো’গীর সংখ্যা বাড়ছে। কাজেই সংক্র’মণ থেকে বাঁচতে সত’র্ক হওয়ার সময় এখনই। কিন্তু এর মধ্যেই যদি বাড়িতে কারও জ্বর আসে কিংবা গলাব্য’থা, কাশি দেখা দেয় তাহলে করণীয় কী, তা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় রয়েছেন।




বাড়িতে কেউ অসু’স্থ হলে, করো’না র সংক্র’মণ ের পরীক্ষা হোক বা না-হোক এখন প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে অসু’স্থ ব্য’ক্তিকে সবার থেকে আ’লাদা করে ফেলা। কিন্তু সেটা কীভাবে করবেন? আসুন এ স’স্পর্কে নিয়মকানুনগুলো জে’নে নিই। কেননা এ সময়ে জ্বর সর্দি
কাশি গলা ব্যথা হলে আমাদের চিন্তার অন্ত থাকবে না।




বর্তমানে সর্দি-জ্বর-গলা ব্যথা হলে কমবেশি সবাই ধারণা করে বসবে যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তাই এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এক নজরে –




১. অসু’স্থ ব্য’ক্তিকে এমন একটি ঘরে রাখতে হবে, যা অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না। ওই ঘরের স’ঙ্গে আ’লাদা টয়লেট থাকলে খুবই ভালো। খাওয়া এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ করা ছাড়া বাকি সময় কক্ষটি ব’ন্ধই থাকবে। প্রয়োজনীয় খাবার ও জিনিস দরজার কাছে রেখে দূ’রে সরে যেতে হবে। আক্রা’ন্ত ব্য’ক্তি দরজা খু’লে তা সংগ্রহ করবেন।




২. অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের দেশে আ’লাদা ঘরের ব্যব’স্থা করা সম্ভব নাও হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি বা দুটি ঘরে অনেক মানুষ বসবাস করে। এমন প’রিস্থিতিতে সবাইকে এমনভাবে থাকতে হবে, যেন অসু’স্থ ব্য’ক্তির স’ঙ্গে কমপক্ষে ৩ ফুট বা ১ মিটার দূ’রত্ব বজায় থাকে। সেবাদানকারী ব্য’ক্তি একটানা ১৫ মিনিটের বেশি অসু’স্থ ব্য’ক্তির কাছাকাছি অব’স্থান করবেন না।




৩. রো’গীর ব্যবহার্য জিনিসপত্র, জামাকাপড়, তোয়ালে-গামছা সব আ’লাদা করে ফেলতে হবে। এগুলো আক্রা’ন্ত ব্য’ক্তি নিজেই পরি’ষ্কার করবেন এবং পরি’ষ্কার করার সময় কমপক্ষে ৩০ মিনিট ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুতে হবে। পরি’ষ্কার করার সময় গ্লাভস ব্যবহার ক’রতে পারলে ভালো হয়। ৪. রো’গী এবং ঘরে অব’স্থানকারী প্রত্যেকেই মাস্ক ব্যবহার করবেন।




৫. যদি আ’লাদা টয়লেটের ব্যব’স্থা করা না যায়, তাহলে ব্যবহারের পর রো’গী নিজেই টয়লেট জী’বাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন, কমোডের ঢাকনা ব’ন্ধ করে ফ্ল্যাশ করবেন এবং টয়লেটের একজস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখবেন। রো’গীর ব্যবহারের কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর অন্যরা টয়লেট ব্যবহার করবেন।




৬. আক্রা’ন্ত ব্য’ক্তি হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় অবশ্যই টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢাকবেন এবং নিজে’র সব বর্জ্য একটা পলিথিনের ব্যাগে মুড়ে ঢাকনা দেওয়া বিনে ফেলবেন। পলিথিনের ব্যাগটি রোজ মুখ ব’ন্ধ করে নিজেই ঘরের বাইরে রেখে দেবেন। অন্যরা সেই ব্যাগটি বাইরে ময়লার বালতিতে ফেলার সময় গ্লাভস ব্যবহার করবেন ও স্প’র্শ করার পর হাত ধুয়ে ফেলবেন।




৭. আক্রা’ন্ত ব্য’ক্তিকে পরিচর্যা করার আগে-পরে হাত সাবান-পানি দিয়ে ধুতে হবে। যতটা সম্ভব কাছে না গিয়ে পরিচর্যা ক’রতে হবে। বাড়িতে পর্যাপ্ত ঘর না থাকলে অথবা পরিবারের সদস্যসংখ্যা বেশি হলে কিংবা পরিবারে ঝুঁ’কিপূর্ণ ব্য’ক্তি থাকলে জ্বরের রো’গীকে সরকার নির্ধারিত আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে রাখা যেতে পারে। রো’গী বাড়িতে থাকলে চিকি’ৎসকের স’ঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে লক্ষণ অনুযায়ী ব্যব’স্থাপত্র নিন।







